
প্রকাশিত: Fri, Aug 25, 2023 11:34 PM আপডেট: Fri, May 9, 2025 2:22 PM
[১]সুন্দরবন থেকে স্থল, সমুদ্র ও আকাশপথে পাচার হয় বাঘের অঙ্গপ্রত্যঙ্গ, জানিয়েছেন গবেষকরা
তারিক আল বান্না: [২] গবেষণা সংস্থা চায়নিজ একাডেমি অব সায়েন্সেসের সাবেক ডক্টরাল ফেলো ড. নাসির উদ্দিন সুন্দরবনে ২০১৬ থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত বাঘ চোরাচালানের তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ ও বিশ্লেষণ করেছেন। গবেষণায় তিনি বাঘের অঙ্গপ্রত্যঙ্গ সংগ্রহের স্থান, প্রক্রিয়াকরণ এবং সরবরাহ কেন্দ্র, ট্রানজিট বন্দর, অবৈধ সীমান্ত পাড়ি এবং পাচারের স্থানসহ বাণিজ্য পথগুলো চিহ্নিত করেছেন। সূত্র: প্রথম আলো
[৩] যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক বন্য প্রাণী গবেষণা সংস্থা প্যানথেরা এবং ওই চায়নিজ একাডেমির গবেষকেরা যৌথভাবে গবেষণাটি করেন। যার ফলাফল এ বছর আন্তর্জাতিক বিজ্ঞান সাময়িকী ‘কনজারভেশন সায়েন্স ও প্র্যাকটিস’ এ প্রকাশিত হয়েছে।
[৪] বাংলাদেশ থেকে বাঘের অঙ্গপ্রত্যঙ্গ পাচার হয় কাতার, যুক্তরাজ্য, জার্মানি, অস্ট্রেলিয়া, জাপান ও মিয়ানমারসহ বিশ্বের ১৫টি দেশে। সুন্দরবনে সক্রিয় ৩২টি বাঘশিকারি পাচারকারী চক্র। এই চক্রের নেতৃত্বে রয়েছে ভারত, চীন ও মালয়েশিয়ার একদল চোরাচালানকারী।
[৫] প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়, গবেষণাটির প্রয়োজনে ১৯৪ জনের সাক্ষাৎকার নেওয়া হয়েছে, যারা প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে বাঘশিকার ও চোরাকারবারের সঙ্গে জড়িত।
[৬] গবেষণায় বলা হয়েছে, ২০০৯ সালেও সুন্দরবনের বাঘের সংখ্যা ৩০০ থেকে ৫০০ ছিল। শতকরা ৫০ ভাগেরও বেশি কমে ২০১৮ সালে তা আনুমানিক ১১৪টিতে নেমে আসে।
[৭] বাংলাদেশ সরকারের ২০১৬ সালের জলদস্যুতা প্রতিরোধ অভিযান জলদস্যু গোষ্ঠীগুলোকে সাধারণ ক্ষমার প্রস্তাব দেয়। যারা প্রত্যাখ্যান করে, তাদের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করা হয়। এভাবে কয়েক বছরের মধ্যে অঞ্চলটিকে জলদস্যুমুক্ত ঘোষণা করা হয়। তবে জলদস্যুরা চলে যাওয়ার পর তাদের শূন্যস্থান দখল করেছে প্রায় ৩২টি বাঘ চোরাচালানকারী চক্র।
[৮] গবেষণায় বলা হয়, বাংলাদেশ থেকে বাঘ চোরাচালানের সিংহভাগই ভারত ও মিয়ানমারের সঙ্গে স্থলসীমান্ত দিয়ে হয়। আঞ্চলিক রাজনৈতিক অস্থিরতা এবং দেশগুলোর মধ্যে সাংস্কৃতিক ও ভাষাগত মিল বাঘ চোরাচালানে অন্যতম সহায়ক হিসেবে কাজ করে।
[৯] ডনটুআর্থ জানায়, ওই গবেষণায় বলা হয়েছে, ধনী বাংলাদেশি নাগরিকেরা ঔষধি কাজে, আধ্যাত্মিক উপাদান হিসেবে ও শৌখিন পণ্য হিসেবে বাঘের হাড়, কাটা দাঁত, মাংস, দুধ, মাথার খুলি, চামড়া ইত্যাদি ব্যবহার করেন। এই অঙ্গ-প্রতঙ্গ প্রতিটির বিক্রয়মূল্য প্রায় ১৭,৪৫০ মার্কিন ডলার। সম্পাদনা: এল আর বাদল
আরও সংবাদ
[১]সরকার ধৈর্য্য ধরলেও সন্ত্রাসীরা দেশের অনেক জায়গায় তাণ্ডব চালিয়েছে: তথ্য প্রতিমন্ত্রী
[১]রাজধানীর মোড়ে মোড়ে আওয়ামী লীগের জমায়েত
[১]আন্দোলনকারীরা লাঠিসোঁটা নিয়ে এনায়েতপুর থানায় হামলা চালায় [২]সারাদেশে পুলিশের অনেক স্থাপনা আক্রান্ত
[১]সুশাসন নিশ্চিতে রাষ্ট্রকাঠামো ঢেলে সাজানোসহ ১১ দফা দাবি টিআইবি’র
[১]ড. ইউনূসকে ৬৬৬ কোটি টাকা কর পরিশোধ করতে হবে: হাইকোর্ট
[১]রাষ্ট্রীয় সম্পদ ধ্বংসসহ নৈরাজ্যকারীদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ান: ইকবাল সোবহান চৌধুরী

[১]সরকার ধৈর্য্য ধরলেও সন্ত্রাসীরা দেশের অনেক জায়গায় তাণ্ডব চালিয়েছে: তথ্য প্রতিমন্ত্রী

[১]রাজধানীর মোড়ে মোড়ে আওয়ামী লীগের জমায়েত

[১]আন্দোলনকারীরা লাঠিসোঁটা নিয়ে এনায়েতপুর থানায় হামলা চালায় [২]সারাদেশে পুলিশের অনেক স্থাপনা আক্রান্ত

[১]সুশাসন নিশ্চিতে রাষ্ট্রকাঠামো ঢেলে সাজানোসহ ১১ দফা দাবি টিআইবি’র

[১]ড. ইউনূসকে ৬৬৬ কোটি টাকা কর পরিশোধ করতে হবে: হাইকোর্ট
